খান মোঃ কামরুল , অভয়নগর প্রতিনিধি: যশোর অভয়নগর নওয়াপাড়া শিল্প শহর নামে পরিচিত চার-পাঁচটি উপজেলা একত্রিত মিলেই এই শহর শিল্প নগরী নামেই দিনে দিনে বেশি পরিচিত হয়ে উঠছে শিল্প-কারখানা অফিস-আদালত,
এরই ধারাবাহিকতায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অভয়নগর নওয়াপাড়া শিল্প শহরের সবগুলো সড়ক অবৈধভাবে দখল করেই যানজট সৃষ্টি করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চার-পাঁচটি উপজেলা থেকে আগত সাধারন জনগন কে ।
ফুটপাত পথচারীদের না কি হকারদের তা বুঝা বড়ই মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ফুটপাত হকারদের কাছে মোটা অংকের অর্থে ভাড়া দিয়ে তাদেরকে অবৈধভাবে দোকানের পসরা সাজিয়ে বসে বেচা-বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে সড়কের দুপাশ দখল করে নেয়ায় যানজট তিব্র থেকে তিব্রতর হচ্ছে।
এতে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছে পথচারীরা। পথচারীদের অভিযোগ, নওয়াপাড়া বাজারের প্রতিটি মার্কেট ও সড়কের দুপাশ দখল বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। কাপড়ের মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ীরা তাদের সামনের অংশ অন্য আরেকজনের নিকট ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছে। চুড়িপট্টির ব্যবসায়ীরা দোকান বৃদ্ধি করতে করতে চলাচলের রাস্তা নেই বললেই চলে।
কাসারি পট্টির ব্যবসায়ীদের সকল হাড়ি পাতিল চলাচলের রাস্তার উপর না রাখলে যেন বেচা-বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। সুপারিপট্টি, খৈল-ভূষি পট্টি, কাঁচা বাজারসহ সর্বত্রই যেন একই অবস্থা। আব্দুল্লাহা নামের একজন ক্রেতা জানান, নওয়াপাড়া বাজারের সকল মার্কেটের অবস্থা একই রকম।
যেন কোন মার্কেটে খোলামেলা বাজার করার কোন সুযোগ নেই। নওয়াপাড়া বাজারের বাজার কমিটির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিৎ। এদিকে নওয়াপাড়া নূরবাগ থেকে হাসপাতাল সড়কের বিশেষ করে রেল লাইনের আগের অংশে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তাদের সামনের জায়গা উচ্চমূল্যে ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার পন্যের পসরা বসিয়েছেন। যে কারণে এসড়ক দিয়ে যাতায়াতের কোন উপায় নেই।
লেগে থাকে যানজট। এমনিভাবে ফুটপাতগুলি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে এক শ্রেণীর অসাধূ চক্র। এদের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি মিলবে কবে এমন জিঙ্গাসায় আটকে দেন মোটর সাইকেল আরোহী কুমুদ কুমার।
ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী হকারদের কারবারে (ব্যবসায়ে) ফুটপাত ধরে হাটার মতো নেই। বরং বেগ পেতে হয় সাধারন মানুষের চলাফেরায়। নওয়াপাড়া বাজারের ফুটপাত যেন এখন চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নওয়াপাড়া বাসির এই ভোগান্তি যেন শেষ হবার নয়। এ বিষয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানান, পথচারীদের যাতায়াতের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এছাড়াও আমরা নিয়মিত উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছি। তবে মানুষের মাঝে সচেতনার অভাব রয়েছে।
তাদেরকে যানজটের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার অবৈধ দখলকারী দোকানের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও ফুটপাতের হকাররা কর্ণপাত না করে বেশির ভাগ সময়ই তারা দখল করে রাখে। কিছু কিছু দোকান রাস্তার উপর রীতি মতো স্থায়ীভাবে স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের ফলমুল, ফ্লাক্রিলোড, কাচা তরকারি, মাছ-মাংস, লেপ-তোষক, জুতা-স্যান্ডেলের পসরা সাজিয়ে দখল করে বসে আছে। এসব দোকানে আসা ক্রেতাদের ভীড় ঠেলে পথচারীদের কর্মস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়।
নওয়াপাড়া বাজারের স্বাধীনতা চত্তর, ক্লিনিক পাড়া, মডেল স্কুল রোড, শংকরপাশা খেয়াঘাট, সরকারি খাদ্য গুদামের সামনে, শংকরাপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে যেন যানজট লেগে থাকে সব সময়। অপরদিকে এসব জায়গায় হকাররা বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারচ্ছে।
নওয়াপাড়া বাজারের সর্ব-স্তরের সাধারন মানুষ হকারদের উচ্ছেদ ও যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তানজিলা আখতার জানান, এ বিষয়ে মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিং-এ আলোচনা হয়েছে। আমি দ্রুত এ ব্যাপারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পৌরসভার মেয়রের সাথে আলোচনা করে অবৈধ দখলকারী দোকানের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।